নাগরিক জীবনে কিছু কিছু সমস্যার সাথে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছি। এই ধরুন ট্রাফিক জ্যাম, সরকারি অফিসে বিড়ম্বনা বা এই টাইপের ব্যাপারগুলো। আজিমপুর থেকে বনানী রাস্তা হয়তো বিশ থেকে ত্রিশ মিনিটের। কিন্তু যারা এই রাস্তায় নিয়মিত যাতায়াত করেন তারা হাতে অন্তত ঘণ্টা / সোয়া ঘণ্টা নিয়ে বের হন। এবং এ জন্যে তারা সাধারণত ট্রাফিক জ্যামকে গালিও দেন না, যদি না সেটা সোয়া ঘণ্টা থেকে দুই-তিন ঘণ্টায় রূপ না নেয়। বরং যদি কখনও চল্লিশ মিনিটে পৌঁছে যেতে পারে তাহলে বেশ ভালোলাগা কাজ করে।
.
ট্রাফিক জ্যামের সাথে আমরা এমনভাবে মানিয়ে নিয়েছি যে আমাদের অনেকের প্লানও থাকে জ্যামের সময় আমরা কীভাবে কী করে কাটাবো। কেউ পডকাস্ট শুনে, কেউ ভিডিও দেখে, কেউ সৌশাল মিডিয়া চালায় আর কেউ ঘুমায়। সমস্যাটা যেহেতু দ্রুতই কাটিয়ে উঠার উপায় নেই সেহেতু আমরা সমস্যাটাকে গালি দেওয়ার পরিবর্তে মানিয়ে নিয়েছি।
.
একজন ডায়বেটিসের রোগি যখন জানতে পারেন তার ডায়বেটিস হয়েছে, সাথে সাথেই তিনি ধরে নেন তাকে এখন থেকে এই রোগ নিয়েই চলতে হবে। কেন তার ডায়বেটিস এ নিয়ে দুশ্চিন্তার পরিবর্তে এ রোগকে সাথে নিয়ে, ক্ষতিটাকে কমিয়ে কিভাবে তিনি সুন্দরভাবে লাইফটাকে পার করবেন তা নিয়েই ভাবেন এবং পরিকল্পনা করেন।
.
প্রত্যেকের জীবনেই নানা সমস্যা থাকে। এর মাঝে অধিকাংশ সমস্যাই সবার মাঝে কমন এবং বলা যায় ন্যাচারাল। যেহেতু সমস্যাটা ন্যাচারাল এবং অনেকের ক্ষেত্রে কমন, তাই এই সমস্যা নিয়ে মাথা ব্যাথা তৈরির পরিবর্তে এই সমস্যা নিয়েই কিভাবে লাইফকে আরও স্মুথলি ম্যানেজ করা যায় সেটা ভাবা গুরত্বপূর্ণ। আর যেই সমস্যাগুলো খুব বেশি কমন না কিন্তু মুটামুটি নিশ্চিত এই সমস্যার সমাধান আপাত দৃষ্টিতে নাই, সেসবের ক্ষেত্রেও করণীয় একই।
.
হিউম্যান লাইফ কখনোই পারফেক্ট না। এখানে কিছু সমস্যা থাকবেই। প্রতিবন্ধকতা আর সমস্যা যদি নাই থাকে তাহলে এতো পাওয়ারফুল ব্রেইনের কী কাজ! সমস্যাগুলোকে সমাধান করা অথবা ম্যানেজ করার মাঝেই তো এর স্বার্থকতা।