বাঙালিদের একটা অংশ যেন বড়ই হয় হীনমন্যতাকে বুকে ধারণ করে। তার হীনমন্যতা কাজ করে মেইনলি দুই জায়গাতে। স্যোশাল ক্লাস এবং রিলিজিয়াস আইডেন্টিটি নিয়ে। ফলে তার সবসময় চেষ্টা থাকে জাতে উঠার। নিজে যা না, তা প্রমাণ করে জাতে উঠার চেষ্টা। নিজের স্যোশাল বা রিলিজিয়াস স্ট্যান্ড নিয়ে কনফিডেন্ট মানুষের সংখ্যা যথেষ্ট কম।
ঢাকা শহরের মিডেল ক্লাস বা আপার মিডেল ক্লাসের কাউকে যদি জিজ্ঞাসা করেন আপনি কি ক্রিসমাস সেলিব্রেট করেন! এদের উল্লেখযোগ্য একটা অংশকে দেখবেন এই প্রশ্ন শুনে মাইনকার চিপায় পরে যাবে। কখনো ক্রিসমাস ট্রির নিচে না গেলেও সে ইনিয়ে বিনিয়ে বলার চেষ্টা করবে, এটা করা যেতো, করার সুযোগ ছিল ব্লা ব্লা ব্লা। অথচ তার কিন্তু আসলেই ব্যাপারটা নিয়ে বিশেষ ইন্টারেস্ট নাই। কেউ কেউ খুব গৌরবের সাথে বলবে, “হ্যা!”। যেন মাত্রই এভারেস্ট জয় করে দেশে ফিরেছে। যারা একটু এক কাঠি সরেষ এদেরকে কিছু বলা ছাড়াই এরা তার স্ট্যান্ডকে জাস্টিফাই করে দুই চার লাইন কথা ঝেড়ে দিবে। যদি আপনি তার কাছে এটার জাস্টিফিকেশন চেয়ে বসেন, এই ভয়ে। সে জাস্ট সিম্পলি এই কথা বলতে পারবে না যে এইটা তো আমার জন্য সেলিব্রেট করার কিছু না।
সম্ভবত বাঙালির জন্য “সে কী, কেন সে” এসবের উত্তর খুঁজে বের করার চাইতে আরেকজনের রঙ নিজের গায়ে মেখে সঙ সেজে বসে থেকে “আমি তো জাতে উঠে গেসি” এইটা ভাবা বেশি সহজ…
বাই দ্যা ওয়ে বাঙ্গালির কাজই হচ্ছে বাঙ্গালিকে বাঙ্গালি বলে গালি দেওয়া…