বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক শিক্ষাব্যবস্থা অথবা আরেকটু স্পেসিফাই করলে নির্দিষ্ট কয়েকটা ডিগ্রি নিয়ে অনেকের বড় একটা অভিযোগের জায়গা হলো, এই শিক্ষাব্যবস্থা মানুষের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাকে ধ্বংস করে দেয়। কেবল নিজেকে “কর্পোরেট দাস” হিসেবে গড়ে তুলতেই সাহায্য করে। চাকরির মাধ্যমেই জীবন শেষ করার দিকে ধাবিত করে। নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজের কোনো প্রতিষ্ঠান দাড় করানোর সক্ষমতাকে নষ্ট করে দেয়। ক্যারিয়ারের লক্ষ্যকে চাকরির মাঝেই অবদ্ধ করে ফেলে।
এ অভিযোগকে কেন্দ্র করে কয়েকটা বিষয় সামনে রাখা যেতে পারে।
১. সবার মাঝে কি নিজের কিছু দাঁড় করানোর সক্ষমতা আসলেই থাকে ?
২. বাংলাদেশের যেই পরিমাণ বাবা-মা স্বপ্ন দেখেন তার ছেলে বড় হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হবে, ওয়ার্ল্ড ব্যাংকে চাকরি করবে, বিসিএস ক্যাডার হবে, এর বিপরীতে কয়জন বাবা-মা এভাবে দেখেন আমাদের ছেলে তার স্বপ্নের পেছনে ছুটবে, নিজের স্টার্টাপ/বিজনেস দিবে?
৩. আপনি যদি হাইস্কুল বা কলেজ পড়ুয়া কাউকে জিজ্ঞাসা করেন তার ক্যারিয়ারের লক্ষ্য কী, দেখবেন অধিকাংশই চাকরি কেন্দ্রিক লক্ষ্যের কথাই জানাবে।
একজন মানুষ তার পরবর্তী জিবনে কী করবে, এটা নির্ধারিত হয় পরিবার এবং ব্যক্তি নিজের ইচ্ছার উপর কেন্দ্র করেই। বিশ্ববিদ্যালয় তাকে কিছু বিষয়ভিত্তিক নলেজ দেয় , তার ক্যারিয়ারের লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেয় না। ক্যারিয়ারের লক্ষ্য ব্যক্তির নিজের, পরিবার এবং আশপাশের মানুষের প্রভাবের মাধ্যমেই নির্ধারিত হয়। অনেকক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কোনো ব্যক্তির ক্যারিয়ারের লক্ষ্য বাস্তবায়নে সহায়কের ভূমিকা পালন করে। সে যা ই হতে চাক।
ম্যাটার ইজ দ্যা গোল, নট দ্যা কারিকুলাম…
** বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে সমালোচনা করার মতো অন্যান্য ইস্যু আছে। কিন্তু এই পয়েন্টে সমালোচনাটাকে রিলেভ্যান্ট মনে হয়না।