দুনিয়াতে ড্রপআউট দুই ধরণের। এক ধরণ হচ্ছে যারা এডুকেশন সিস্টেমের সাথে তাল মেলাতে পারেনা। আরেক ধরণ হচ্ছে যাদের সাথে এডুকেশন সিস্টেম তাল মেলাতে পারেনা। এডুকেশন সিস্টেমকে নিক্তি বানিয়ে মানুষকে জাজ করার ফলে অনেকেই এই চিন্তা করে “This system cannot evaluate me” এদের অনেকেই এমন যাদের সাথে এডুকেশন সিস্টেম তাল মেলাতে পারেনা। প্যাশনের প্রতি এদের ফোকাস, ডেডিকেশন থাকে এক্সট্রিম লেভেলের। ফলে এরা সহজেই “উল্লেখযোগ্য” হয়ে উঠেন। এদের অনেকের মাঝেই সামহাউ শিক্ষার ইনভিজিবল বিনিফিটস স্টাব্লিশ থাকে।
সমস্যাটা হচ্ছে এই শ্রেণিটাকে উপস্থাপন করা হয় ওইসব শ্রেণির মানুষের সামনে যারা ইউনিভার্সিটির সাথেই তাল মেলাতে পারছেনা, হিমশিম খাচ্ছে কিংবা কোনোভাবে তাল মিলিয়ে চলছে। এদের অনেকেই এই “সিস্টেম” এর বাহিরে গেলে শিক্ষার ইনভিজিবল বেনিফিট থেকে বঞ্চিত হবে। মূলত আমরা খুবই কনফিউজড। আমরা একই সাথে লোকজনকে অশিক্ষিত বলে গালি দেওয়ার চেষ্টা করি, আবার একইসাথে বলি “এতো পইড়া কী হবে ওমুক তো না পইড়াই এতো এতো টাকা কামাচ্ছে”।
প্রত্যেকেই সেইম স্কেলে কোয়ালিফাইড না। ভিন্নভিন্ন স্কেলে ভিন্নভিন্ন ভাবে মানুষ কোয়ালিফাইড। এসব কন্সিডার না করে গনহারে সবাইকে উচ্চশিক্ষার দিকে ঠেলে দেওয়া মানে একটা প্রজন্মকে মিসগাইড করা। মানুষের বিশেষ কোনো মেধার মূল্যায়ণ না করে শুধুমাত্র একাডেমিক অর্জনের দিকে ফোকাস করে তাকে মূল্যায়ণ করাটা মেধার অবমাননা। কিন্তু এই সমস্যার বিকল্প এই নয় যে এদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবর্তে গনহারে আপনি ফ্রিল্যান্সিং ট্রেনিং সেন্টারে পাঠাবেন আর ভেবে বসে থাকবেন এরা প্রত্যেকে পাঁচ বছর পর ইয়ারলি একলাখ ডলার করে কামাবে।
উচ্চশিক্ষা কখন কার জন্যে কীভাবে কেন প্রয়োজনে এই আলোচনা সবার সামনে পরিষ্কার থাকা প্রয়োজন। উচ্চশিক্ষা নেওয়া মানে সুপ্রেরিয়র কিছু না, এটা তখনই প্রতিষ্ঠিত হবে যখন উচ্চশিক্ষার ইনভিজিবল বেনিফিটগুলো ম্যাসিভ হবে অর্থাৎ একাডেমিকভাবে শিক্ষিত আর অশিক্ষিতদের আচরণ, চিন্তার পরিধির মাঝে সিগ্নিফিকেট লেভেলের ফারাক থাকবে না।