শিক্ষার বেনিফিট মূলত দুই রকমের। একটা খুব ভিজিবল। নলেজ বিক্রি করে টাকা কামানো। আরেকটা ইনভিজিবল। মানুষের চিন্তা-ভাবনা, পার্স্পেক্টিভের উন্নতি করানো। এটাই মূলত শিক্ষার আদি ও আসল বেনিফিট। মানুষকে “মানুষ” করা। শিক্ষার ইনভিজিবল বেনিফিটটা অধিক গুরত্বপূর্ণ।
আপনাকে যদি আপনার এমন কোনো এক “ক্লাসমেটের” সাথে এক ঘন্টার জন্যে বসিয়ে দেওয়া হয়, যে পাঁচ বছর আগে লেখাপড়া ছেড়ে দিয়েছে। অনেক বেশি সম্ভাবনা আছে আপনি তার সাথে আলাপে কিছুক্ষণের মাঝেই বোরিং ফিল করবেন। আপনাকে জিজ্ঞাসা করলে আপনি বলবেন “চিন্তা-ভাবনা” মিলছে না। এই “চিন্তা-ভাবনার” পার্থক্য তৈরি করেছে আপনার আর তার পাঁচ বছরের জার্নির ভিন্নতা। তবে কেউ যদি এমন হয় যে পাঁচ বছর আগে পড়াশোনা ছেড়েছে কিন্তু আপনার চাইতেও ভালো পরিবেশে সে সময় কাটানোর সুযোগ পেয়েছে অথবা সিমিলার কমিউনিটিতে সময় কাটিয়েছে তার সাথে আবার আপনার এমন হবে না। তবে এজাতীয় কেইস খুব একটা কমন না।
আমাদের দেশে শিক্ষিত আর অশিক্ষিতদের মাঝে আচরণগত কন্ট্রাস্ট অনেক বেশি। আমরা যখন কাউকে শিক্ষিত বা অশিক্ষিত বলে মনে করি, তখন আমরা জিজ্ঞাসা করি না যে আপনি কতদূর পড়েছেন। কোন ভার্সিটি থেকে কোন সাব্জেক্টে পড়ে আপনার রেজাল্ট কী। এসব প্রশ্ন করে উত্তর পেয়ে আমরা কাউকে শিক্ষিত মনে করি না। বরং তার আচার-আচরণ, চিন্তার ধরণ বুঝেই আমরা জাজ করি। এই জাজমেন্টের জালে দেখবেন অনেক সময় প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অশিক্ষিত অনেককেও আমাদের শিক্ষিত মনে হয়, আবার অনেকসময় প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শিক্ষিতকেও “কেমন কেমন” লাগে। এই পার্থক্য তৈরি করে ব্যক্তির সরাউন্ডিংস, প্র্যাক্টিস। যার উপর ভিত্তি করে তার পার্সোনাল ফিলোসফি দাঁড়ায়, ওয়ে অব জাজমেন্ট, ওয়ে অব থিংকিং, পার্সেপশন-পার্স্পেক্টিভ ডেভেলপ করে।