সাম্প্রতিক সময়ে যেই জিনিসটা বিরক্তিকর লাগছে তা হচ্ছে, চারদিকে টাকা কামাইয়ের আলাপের ছড়াছড়ি। অমুক মাসে সাত লাখ, আরেকজন পঞ্চাশ লাখ। যদিও প্রায় প্রত্যেকেই বলেন যে এই জার্নিতে টাকা কামানোটা তাদের মূল অবজেক্টিভ ছিল না। অবজেক্টিভ ছিল অন্য কিছু। টাকাটা বাই প্রডাক্ট। কিন্তু নিখিল বঙ্গ ভোদাই সমাজের তো মূল অবজেক্টিভই টাকা কামানো এন্ড আলটিমেটলি নেহাত টাকা কামাইয়ের অবজেক্টিভ তাদের জন্য হেলদি না।
.
এখানে মূল সমস্যা হলো, চারদিকে টাকা কামাইয়ের এই ধরনের আলাপ বেশি হলে সমাজের অনেকের মাঝেই ম্যাটারিয়েলিস্টিক মাইন্ডসেট গ্রো করবে। সে শুধু ভিজিবল বেনিফিটগুলোকেই গুরুত্বপূর্ণ ভাববে। ধীরে ধীরে সে চরম ক্যালকুলেটিভ হয়ে উঠবে। যা তার পার্সোনাল লাইফ এবং প্রফেশনাল লাইফে মারা খাওয়ার জন্য যথেষ্ট হবে।
.
অমুক মাসে এতো লাখ, তমুক অত লাখ এই টাইপের আলাপে আরেকটা সমস্যা হলো, নিখিল বঙ্গ ভোদাই সমাজ টাকাকে সফলতা এবং সম্মানের মাপকাঠি বানিয়ে ফেলবে। পাশাপাশি শিক্ষাকে টাকা কামাইয়ের বিপরীতে নিয়ে দাঁড় করাবে। এন্ড শিক্ষা ব্যবস্থার নেতিবাচক দিক নিয়ে দুইশ পঞ্চাশ শব্দের রচনা লিখবে।
.
কেউ চাইলেই স্পেসিফিক্যালি যে কোন শিক্ষাব্যবস্থার সমালোচনা করতে পারবে। কিন্তু যেটার গুরুত্ব অস্বীকার করতে পারবে না সেটা হচ্ছে শিক্ষা এবং বাই ইটসেলফ শিক্ষাব্যবস্থার। এখন যেই সমাজে বই পড়া মানে হচ্ছে টেক্সট বুক পড়া। তাও সেটাও ঠিকভাবে পড়েনা অনেকে। যেখানে মানুষ যেই পরিমাণ টেক্সটবুক পড়েছে এর অর্ধেক পরিমাণ “অন্য বই” পড়ে নাই। যে সমাজে র্যান্ডমলি ৫০টা বাসা খুঁজলে ২৫টা বাসা পেতে কষ্ট হবে যেখানে অন্তত ৫০টা বইয়ের কালেকশন আছে। যেখানে রাস্তায় বিশ মিনিট হাঁটলে বাচ্চারা ২টা গালি শিখে বাসায় আসে। সেই সমাজের মানুষকে শিক্ষাব্যবস্থার নেতিবাচক বয়ান দেওয়া মানে শিক্ষা থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া। কারণ সাধারণ মানুষের কাছে এর কোন বেটার অল্টার্নেটিভ নাই। এভাবে যদি চলে তাহলে দুই জেনারেশন পর সমাজের অবস্থা কেমন হতে পারে!!!
.
একটা কোয়ালিটি সোসাইটির জন্য “উন্নত চিন্তা ও রুচি”র মানুষ দরকার। এটা কয়েকভাবে ডেভেলপ করা যায়। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষদের জন্য ওয়াইডলি প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থাগুলোর বাহিরে আর কি কোনো কনভেনিয়েন্ট অপশন আছে ?