আইডিয়া জেনারেশন / ডেভেলপমেন্ট অথবা কোনো প্রবলেমের সলিউশন ডিজাইনের জন্যে সবসময় আয়োজন করে বসে ব্রেইনস্টর্মিং সেশন করা সবসময় গুরত্বপূর্ণ নাও হতে পারে। বরং অনেক ক্ষেত্রেই আমরা ব্রেইনস্টোর্মিং এর সুযোগ পাই না। খুব সিরিয়াস কোনো কাজ কিংবা ডেডলাইন আছে এমন কাজের ক্ষেত্রে ব্রেইনস্টোর্মিং এর জন্যে আলাদা স্লট রাখা হয়। সাধারণত গুড টু হ্যাভ টাইপ বিষয়গুলোর ক্ষেত্রে আমরা কিছুসময় ভেবে কিছু দাঁড় করাতে না পারলে ইগ্নোর করি। একসময় তারণাটা চলে যায়। অথচ দশটা গুড টু হ্যাভ টাইপ জিনিস মিলে একটা গ্রেট কিছু হতে পারতো।
যখন কেস কম্পিটিশন করতাম, এমন হয়েছিলো যে চার-পাঁচ ঘণ্টা দুই-তিন-চারজন মিলে মাথা ঝাকাঝাকি করে ভালো কোনো কিছু জেনারেট করতে না পেরে প্রচন্ড গরমে লোকালবাসে ঝুলে ঝুলে আসার সময় এক ফেরিওয়ালাকে দেখে এমন আইডিয়া এসেছে যা পুরো সলিউশনে সিগ্নিফিকেন্ট রোল রেখেছে।
একবার প্রেজেন্টেশন শুরুর জন্যে কোনো আইডিয়া পাচ্ছিলাম না। আশাভরসা ছেড়ে দিয়ে স্লাইড সেভ করে পিসি থেকে উঠে গেলাম। গোসল করার সময় শ্যাম্পোর গায়ে বারকোড দেখে প্রেজেন্টেশন শুরুর জন্যে একটা আইডিয়া পাওয়া গেল। এর বাহিরেও বিভিন্ন সময়ে অনেক আইডিয়া ডেভেলপড হয়েছে যার জন্যে নিয়মিতভাবে টাইম স্লট খালি রেখে ভাবা হয়নি৷
অনেক সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় আসে। প্রায়োরিটির বিচারে সবগুলোর জন্যে আলাদাভাবে ব্রেইনস্টর্মিং এর জন্যে সময় বের করা হয় না। সেক্ষেত্রে ইস্যুটাকে মাইন্ডে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে মূল কাজ সম্পর্কিত অথবা কাছাকাছি কিছু একটা সামনে আসলেই আমাদের মাইন্ড এটাকে মূল আইডিয়াটার সাথে কানেক্ট করে ফেলে।