বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে গ্রাজুয়েট বেকারদের সংখ্যা অনেক বেশি। আবার এই দেশেই সাপ্লাই চেইনে টপ লেভেল এক্সিকিউটিভদের অধিকাংশ মানুষ শ্রীলংকান বা ভারতীয়। ইউনিলিভার, জিপি রবির মতো কোম্পানিরা প্রথম বাংলাদেশি সিইও পেলো কয়েকবছর হলো মাত্র। ট্যালেন্ট একুইজিশন এক্সিকিউটভদের দাবী তারা তাদের চাহিদা মতো লোক পায় না। এই গ্যাপের পেছনে শিক্ষাব্যবস্থার যেমন দায় আছে শিক্ষার্থীদেরও সমান দায় আছে।
অদক্ষ গ্রাজুয়েট বেকার জনগোষ্ঠিকে উপস্থাপন করে উচ্চশিক্ষার প্রতি মানুষকে গনহারে ডিমোটিভেট করা ক্ষতিকর। যতক্ষণনা এর গোছালোভাবে বিকল্প পদ্ধতি উপস্থাপন করা হবে। বরং কেউ উচ্চশিক্ষা নিতে চাইলে তাকে এক্সপেক্টেশন এবং রিয়েলিটির ক্যালকুলেশন বুঝিয়ে দেওয়া প্রয়োজন। কেউ যদি নিছকই টাকা কামানোর জন্যে উচ্চশিক্ষা নিতে চায় তাকে বরং কোনো হার্ড স্কিলে স্কিল্ড হতে বলা উচিত।
আমরা বাঙ্গালী। দেয়ালে পিঠ না ঠেকলে কাজ শুরু করি না। পড়াশোনা হয় পরীক্ষার আগেররাতে। প্রজেক্টের কাজ শুরু হয় ডেডলাইন যখন খুব কাছাকাছি চলে আসে তখন। একথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, যে অংশটা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতে হেলায় ফেলায় সময় পার করেছে, ভবিষ্যতের জন্যে নিজেকে তৈরি করেনি, এদেরকে যদি আপনি ফার্স্ট ইয়ারে কোন হার্ড স্কিলের ট্রেনিং দিতেন নির্দিষ্ট একটা অংশবাদে তারা সেখানেও অবহেলা করেই কাটাতো। এবং বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষিত হোপলেস বেকারদের বড় একটা অংশই আসলে এমন।
উচ্চশিক্ষা নিয়ে সমাজের অধিকাংশের ডিসিশান বাইনারি। কেউ সবাইকে উচ্চশিক্ষিত করতে চান, আবার কেউ সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দূরে ঠেলে দিয়ে “বাস্তবমুখি” জার্নিতে ঠেলে দিতে চান।