আমাদের আয়ু অত্যন্ত সীমিত। অল্প সময়ের জন্যে দুনিয়াতে আমাদের বিচরণ। সুখ-দুঃখ, হাসি-আনন্দ আর পাওয়া-না পাওয়ায় পূর্ণ জীবন। ছোট্ট এই জিবনে কে কী নিয়ে বাঁচবে, কোন বিষয়গুলো নিয়ে অনেক বেশি ভাববে এটা ঠিক করে নেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।
.
কেউ যদি তার কাজের বাহিরে সাধারণ সময়ে চিন্তার বড় একটা অংশই পাওয়া না পাওয়ার ক্যালকুলেশন করে কাটায়, অর্থাৎ কার থেকে কী পেলো, কে কিসের বিনিময়ে তার সাথে কেমন আচরণ করলো। কেবল এসব নিয়েই ভাবলে, অথবা ভাবনার জায়গাতে পাওয়ার চাইতে না পাওয়াকে বেশি গুরত্ব দিলে লাইফটা টক্সিক হওয়ার জন্যে আর বেশি কিছুর প্রয়োজন থাকে না।
.
পাওয়া না পাওয়ার হিসেব টানলে যে কোনো একটা বেশি হবে আরেকটা কম হবে এটাই স্বাভাবিক। তবে কেউ যদি তার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাওয়া গুলো নিয়েও ভাবে এটা মনের মাঝে ভিন্নরকম এক ভালোলাগে তৈরি করে। লাইটাকে ব্লেসিং মনে হয়।
.
পাওয়া- না পাওয়ার বিষয়গুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাহিরে থাকে। যা চাইলেও আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো না। এমন অসাধ্য একটা বিষয় নিয়ে ভেবে নিজের মাঝে বিষণ্ণতা তৈরি করাটা অর্থহীন ছাড়া অন্য কিছু কি হতে পারে!
.
না পাওয়া নিয়ে বেশি ভাবলে সিগ্নিফিকেন্ট ব্লেসিংসগুলোকেও ক্ষুদ্র মনে হয়। মনে হয় এটাই তো আমার প্রাপ্য ছিলো , আমি তো পাবোই। কৃতজ্ঞতাবোধ জন্মায় না। বরং নিত্যনতুন অভিযোগের জায়গা তৈরি হয়, যা কখনও যৌক্তিক, কখনো অযৌক্তিক।
.
জীবনে কী পাইনি, কে কে কীভাবে নেতিবাচক আচরণ করেছে কেবল এসব ভাবলে ইনসাফ হারিয়ে যায়। সামান্য নেতিবাচক বিষয়কেও বৃহৎ মনে হয়, অনেক উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক বিষয়কে ক্ষুদ্র মনে হয়। অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ বিষয়কেও সাধারণ ভাবে নেওয়া যায় না। আচরণ পরিবর্তিত হয়ে যায়। অপ্রত্যাশিত আচরণে অনেকেই কষ্ট পায়।
.
লাইফটা অনেক ছোট। কয়েক দশকের আয়ু মাত্র। এই সময়টাকে ব্লেসিং মনে হলে যা কিছু পাওয়া গিয়েছে তার জন্যে শুকরিয়া আদায় হয়। ইবাদত নির্ঝঞ্ঝাট হয়। না পাওয়ার বিষয়গুলো পীড়া দেয় না।