বিতর্কের চূড়ান্ত পর্যায়েও আবেগ মুক্ত থেকে কন্টিনিউ করতে পারাটা বড় একটা ব্যাপার। বিতর্কে আবেগের কাছে হেরে যাওয়া মানে প্রতিপক্ষের কাছে হেরে যাওয়া।
অনেকের ধারণা শিক্ষিত মাত্রই সে র্যাশনাল। মস্তবড় শিক্ষিত ব্যক্তিও যদি ঘন আবেগের অধিকারী হন, তিনি নিজেই তার প্রোডাক্টিভ কাজের বারোটা বাজাতে যথেষ্ট হবেন। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে, গুরুত্বপূর্ণ কন্টেক্সটে তিনি পার্সোনাল ক্রাইসিসের গল্প করে চলে আসবেন।
ঘন আবেগের অন্যতম সমস্যা হচ্ছে এটা এনালিটিকাল এবিলিটির বারোটা বাজিয়ে দেয়। মানুষ তখন ইর্যাশনাল হয়ে যায়। সে পারসেপশনকে বানায় ফ্যাক্ট আর প্রেফারেন্স কে বানায় প্রিন্সিপাল।
শিক্ষিত মানুষের মাত্রাতিরিক্ত আবেগি হওয়া ভয়ানক বিপজ্জনক। যেহেতু শিক্ষিত ব্যক্তির ব্যাপারে মানুষের কগ্নেটিভ বায়াস কাজ করে। তাই সে আবেগের বশে ভুলভাল রিজনিং করে বসলেও সাধারণ মানুষ সেটাকে সঠিক ভাবতে শুরু করে, বিশ্বাস করে এবং অনুসরণ করে।
বাই দ্যা ওয়ে, আবেগ মানুষ আর রোবটের মাঝে অন্যতম পার্থক্য তৈরিকারী একটা ব্যাপার। পরিমিত আবেগ সবমসময়ই প্রয়োজনীয়। শুধু সেটা ঘন কিংবা পাতলা না হলেই হলো।