ক্যারিয়ার গাইডলাইনের বিষয়টা অনেক ভার্সেটাইল। এখানে দুই ধরনের আলাপ আছে। কিছু আছে প্রিন্সিপাল বা ইউনিভার্সাল টাইপের আলাপ-সালাপ। ইউনিভার্সাল লেভেলের আলাপ বলতে ‘পরিশ্রম করো, নিজের স্ট্রেন্থ খুঁজে বের করো, উইকনেসগুলো সল্ভ করো, ফিউচার ওয়ার্ল্ডের লাইফ স্কিলগুলো জেনে রাখো’ এই টাইপের আলাপ অথবা ক্যারিয়ার ম্যানেজমেন্ট আর লাইফ ম্যানেজমেন্টের কমন প্রিন্সিপালগুলো। কিন্তু আপনি যদি আরেকটু ডিগ আউট করে ভেতরে যান, এরপর প্রতিটা কেইসই ইউনিক। ইন্ডিভিজ্যুয়াল লেভেলে সল্ভ করার জিনিস। কোনো পাব্লিক স্পিচে কিংবা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ঢালাওভাবে অডিয়েন্সকে ‘ফ্রিল্যান্সিং করে প্রতিষ্ঠিত হও, কেন তোমাকে বিজনেস করতেই হবে, CSCA করে সাপ্লাই চেইনে কাজ করো অনেক ব্রাইট ফিউচার’ টাইপের মোটিভেশন অথবা স্পেসিফিক কোনো একটা ক্যারিয়ার পাথ বা গোল গণহারে মানুষের উপর চাপিয়ে দেওয়ার জিনিস না।
একেকজন মানুষের ক্যারিয়ার প্লানিং এর সাথে অনেকগুলো ইম্প্যাক্ট ফ্যাক্টর জড়িত। ব্যক্তির পরিবার, পরিবারের এক্সপেক্টেশন, সামর্থ্য, আগ্রহ, তার শর্টটার্ম-লংটার্ম প্ল্যান। আপনি যদি এজাতীয় ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টরগুলোকে কন্সিডার করে মানুষের প্রোফাইল সাজান, দেখবেন প্রত্যেকের প্রোফাইল ইউনিক। একজনের সাথে আরেকজনেরটা মিলবে না। এমন ডাইভার্সিফাইড একটা সিনারিওতে সবাইকে স্পেসিফিক কোনো একটা গোল অথবা একটা ক্যারিয়ার পাথের প্রতি মোটিভেট করা অথবা কমন কোনো সলিউশন দেওয়ার কোনও সুযোগ নাই।
ক্যারিয়ার রিলেটেড ইস্যুগুলোকে সব অডিয়েন্সের জন্যে সল্ভ করার সব থেকে বড় উপায় হচ্ছে এওয়ার্নেস ক্রিয়েট করা। ব্যক্তিকে তার নিজের সমস্যা সমাধানের জন্যে যোগ্য করে তোলা। ক্যারিয়ার গাইডলাইনের প্রিন্সিপালগুলো আলোচনা করা। স্ট্র্যাটেজিক প্লানিং শেখানো. বিভিন্ন ক্যারিয়ার পাথ-কে সামনে রেখে সেগুলোর প্রস এন্ড কন্স এর সাথে নিজের লাইফের ভ্যারিয়েবলের অ্যানালাইসিস করা শেখানো। এরপর আরও কমপ্লেক্স কিছু হলে ইন্ডিভিজ্যুয়াল লেভেলে তার প্রব্লেম সল্ভ করা।