কয়েকবছর আগে নিউমার্কেট এলাকার কোনো এক হোটেলের বাবুর্চির কথা জেনেছিলাম। যার বেতন ছিল ৩৫ হাজার টাকা। নিঃসন্দেহে এই এমাউন্ট অনেক গ্র্যাজুয়েটের উপার্জনের চাইতে বেশি। কিন্তু এই সমাজ কি রান্নার বাহিরে সমাজের কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজে তার থেকে পরামর্শ নিবে ? অথবা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কি প্রোপার সাজেশন দেওয়ার ক্যাপাবিলিটি তার মাঝে থাকবে ?
বরং সমাজ এই জায়াগতে “শিক্ষিত” একজন থেকেই সাজেশন নেওয়াকে প্রেফার করবে এবং বাবুর্চিকে “অশিক্ষিত” হিসেবে কন্সিডার করবে। কিন্তু এই সমাজের মানুষই আবার চায়ের দোকানে বইসা বলবে অমুক বাবুর্চি এতো টাকা কামায়, অথচ কামাল সাহেবের ছেলে এতো পইড়া কী করছে…?
তার কাছে আসলে শিক্ষার একমাত্র বেনিফিট হচ্ছে, টাকা কামাই করা। সে মনে করে যেহেতু অমুক শিক্ষিত হইসে, সো সে সমাজের অন্য যে কারও থেকে বেশি টাকা কামাই করতে পারবে।
এ এক অদ্ভুত প্যারাডক্স। রেস্টুরেন্টে যেয়ে অর্ডার দিবে সেট মেন্যু। খাইতে চাইবে গামলা ভরা ভাত। আবার যে গামলা ভরা ভাত খাবে তাকে সে গালি দিবে…