প্যাশন নিয়ে আলোচনা আসলে একটা বিষয় সামনে আসে। প্যাশন অথবা এই সংক্রান্ত আলাপ কি অভাররেটেড! এই আলোচনা বোঝার জন্যে শুরুতে প্যাশনের ফাংশনিংটা বুঝতে হবে। অর্থাৎ প্যাশন কীভাবে কাজ করে, পাশাপাশি প্যাশন কেন গুরুত্বপূর্ণ সেটাও বুঝতে হবে।
প্যাশন কি সবার জন্য খুঁজে পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ না-কি গুরুত্বপূর্ণ না, এ নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। কিন্তু একটা বিষয় নিয়ে কোনো বিতর্ক নাই, তা হচ্ছে কোনো একটা গোল এচিভ করার জন্যে আপনাকে লেগে থাকতে হবে। কন্টিনিউয়াস এফোর্ট দিতে হবে। পরিশ্রম করতে হবে।
ঠিক এই জায়গাতেই প্যাশন আপনাকে হেল্প করবে। আপনি যদি কোনো কাজের প্রতি প্যাশনেট হতে পারেন, তবে সেখান থেকে কয়েক রকমের বেনিফিট পাবেন।
লম্বা একটা সময় কাজের সাথে লেগে থাকতে পারবেন। এই কাজ হোক আপনার স্কিল ডেভেলপমেন্ট, রিসার্চওয়ার্ক অথবা স্টার্টাপ বিল্ডিং। কাজটা করার জন্যে আপনার ইন্ট্রিঞ্জিক মোটিভেশন কাজ করবে। কাজ করার মাধ্যমে আপনি হ্যাপি ফিল করবেন। লার্নিং এর জন্য অথবা ডেভেলপমেন্টের জন্য আপনার সেল্ফ মোটিভেশন কাজ করবে। সব মিলিয়ে আপনার এফোর্ট হবে অনেক বেশি কোয়ালিটিফুল।
চাকরি বা ব্যবসা আপনি আপনার ফিউচার লাইফে যাই করুন না কেন, দিনের অন্তত তিন ভাগের একভাগ আপনার সেই কাজের সাথেই কেটে যাবে। অর্থাৎ আপনার বাকি জীবনের বড় একটা অংশই কেটে যাবে এই কাজের সাথে। তাই এই কাজকে উপভোগ করতে পারাটা গুরুত্বপূর্ণ।
অবশ্যই বিষয়টা এমন না যে আপনি এক মুহূর্তের জন্যেও ক্লান্ত হবেন না। তবে এটা সত্য যে কাজটাকে উপভোগ করতে পারলে মানসিক চাপ কম অনুভব হবে আপনার। যে কাজটা আপনি খুব একটা পছন্দ করেন না বা মন থেকে করেন না, সেটার সাথে দিনের এক তৃতীয়াংশ কাটানো আর যে কাজ আপনার ভালো লাগে, পছন্দ করেন, সেটার সাথে দিনের এক তৃতীয়াংশ কাটানোর অনুভূতি কখনোই সমান হতে পারে না।