আপনি যদি এমন লোকদের দিকে তাকান, যারা বিভিন্ন অঙ্গনে পরিবর্তন সাধন করেছেন, বৃহৎ পরিসরে সফলভাবে ইনেশিয়েটিভ নিয়েছেন, সমাজে সিগ্নিফিকেন্টলি ভ্যালু ক্রিয়েট করেছেন, তাদের প্রায় প্রত্যেকের মাঝেই যে বিষয়টা অনেক বেশি কমন তা হলো, তারা কেউই টাকার পেছনে ছোটেননি। প্রত্যেকেই প্যাশনের পেছনে ছুটেছেন। স্পেসিফিক কোনো একটা প্রবলেমকে ফোকাস করে তা সল্ভ করার চেষ্টা করেছেন।
সেলফ ডেভেলপমেন্ট বইয়ের অথর থেকে শুরু করে সাকসেসফুল স্টার্টাপের ফাউন্ডার অথবা মোটিভেশনাল স্পিকার, ক্যারিয়ার গাইডলাইন নিয়ে তাদের বলা নোটেবল একটা বাক্য হচ্ছে, “শুধুমাত্র টাকা কামানোকে ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ না বানানো। টাকাটা বাই প্রোডাক্ট।”
দেশ কিংবা বিদেশের সফল স্টার্টাপগুলো নিয়ে এনালাইসিস করলে আপনি দেখবেন, অনেক স্টার্টাপ শুরুতে বড় একটা সময় ধরে কোনো প্রফিট মেক করতে পারেনি। এমনকি কিছু কিছু স্টার্টাপ ভর্তুকিও দিয়েছে অনেকদিন। শুধুমাত্র টাকা কামানোকে তারা ক্যারিয়ার অবজেক্টিভ বানালে অনেক ইনেশিয়েটিভই মানুষের সামনে আসত না। শুধুমাত্র স্টার্টাপ ফাউন্ডাররাই নন, বরং যারাই সমাজে ভ্যালু ক্রিয়েট করেছেন তাদের প্রায় সবার ক্ষেত্রেই প্রাইমারি গোলটা টাকা কামানো ছিল না।
মধ্যম আয়ের এই দেশের অধিকাংশ মানুষ মধ্যবিত্ত। এ পরিবারগুলো থেকে যারা শিক্ষিত হয়, ইউনিভার্সিটি থেকে পাশ করার পরপরই এদের ওপর পরিবারকে ফিন্যান্সিয়ালি সাপোর্ট দেওয়ার দায়িত্ব বর্তায়। সমাজের সমস্যাগুলো এদেরকে ভাবালেও বাস্তবতা এদের স্বপ্নগুলো কেড়ে নেয়।
এই রিয়েলিটির কারণে বড় একটা অংশই “টাকা কামানোকে জীবনের লক্ষ্য না বানানো”-কে সাপোর্ট করেন না। এটাকে রিয়েলিস্টিক মনে করেন না। কিন্তু আপনি যদি শুধু টাকা কামানোকেই ফোকাস করেন, তবে এটা মোটামুটি নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, আপনার জার্নিটা খুব একটা হেলদি হবে না। এটা আপনার ফোকাস হ্যাম্পার করবে। আপনি আপনার এরিয়া অব কন্সার্ন এন্ড এরিয়া অব ইনফ্লুয়েন্স বারবার চেঞ্জ করবেন। তাহলে সমাধান কী হতে পারে, আলোচনা হবে। তবে এর আগে শুধু টাকা কামানোকে অবজেক্টিভ বানানো নিয়ে ছোট একটা আলাপ হোক আগামী পর্বে।